Sudipta Mukherjee's Blog

Saturday, April 6, 2019

কলকাতার সংগ্রহশালা

কলকাতার  সংগ্রহশালা

কলকাতা শহর সুপ্রাচীন এক শহর। শহরের প্রাচীন ইতিহাসের গল্প আমরা সবাই জানি।  ব্রিটিশ ভারতের উত্থান ও পতনের ইতিহাসের গল্পও আমাদের জানা আছে। রাজা - জমিদারদের তৈরী বিভিন্ন পুরাকীৰ্তির সব  অন্যন্য সংগ্রহ কলকাতার বিভিন্ন সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত আছে।  কত শত পুরাকীর্তি ও রাজা রাজরাজড়াদের ব্যৱহৃত কত সামগ্রী, কত শিল্প সব নিয়ে শহরের বুকেই গড়ে উঠেছে কত বিচিত্র সব সংগ্রহশালা। এইসব সংগ্রহশালাগুলো ভারতের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের  প্রতীক হিসেবে উজ্জ্বল হয়ে আছে। আজ আমি এখানে কলকাতা শহরের  সংগ্রশালাগুলো সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত আকারে জনাবো।

ভারতীয় জাদুঘর :
১৯১৪ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেন।  এটি ভারতবর্ষের বৃহত্তম জাদুঘর এবং বিশ্বের প্রাচীনতম জাদুঘর হিসেবে পরিগণিত হয়। ভারত সরকার এটির পরিচালনা  করে। এটি একটি  সাংকৃতিক ও বিজ্ঞান বিষয়ক   জাদুঘর। সম্পূর্ণ সংগ্রহশালাটিকে ছয়টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ১) শিল্প , ২) নৃতত্ত্ব, ৩) ভূতত্ত্ব,  ৪) পুরাতত্ত্ব, ৫) প্রাণীতত্ত্ব ও  ৬) উদ্ভিজ্জ। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রবেশমূল্য ৫০/- টাকা, পাঁচ বছরের উর্দ্ধে ২০/- টাকা আর বিদেশী পর্যটকদের জন্য ৫০০/- টাকা লাগে। ক্যামেরার জন্য আলাদা মূল্য ধার্য করা হয়।  স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য  অবশ্য কোনো প্রবেশ মূল্য লাগে না।  সংগ্রহশালাটি প্রতি সোমবার বন্ধ থাকে। মঙ্গলবার থেকে রবিবার সকাল ১০টা  থেকে সন্ধ্যে ৮টা  পর্যন্ত খোলা থাকে। ভারতীয় জাদুঘরটি কলকাতার চৌরঙ্গী অঞ্চলে অবস্থিত।

ঠিকানা :
 ২৭, জওহরলাল নেহেরু রোড
কলকাতা - ৭০০ ০১৬

এশিয়াটিক সোসাইটি : 
এটি কলকাতার একটি অগ্রণী গবেষণা কেন্দ্র। ১৭৮৪ সালের ১৫ই জানুয়ারী  স্যার উইলিয়াম জোন্স এটি প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে ২৬টি ভাষায় ৫০ হাজারের বেশি ম্যানারস্ক্রিপ্ট সংরক্ষিত আছে। নিজস্ব গ্রন্থাগার ও সংগ্রহশালায় বহু প্রাচীন পুঁথি, বইপত্র, তাম্রসনদ, মুদ্রা, ছবি ও আবক্ষ মূর্তি রয়েছে। কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটিটি বিশ্বের সমজাতীয় সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। ১৮০৮ সালে এখানকার গ্রহাগারটিকে জনগণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। এশিয়াটিক সোসাইটিটি জওহরলাল রোড ও পার্ক স্ট্রিটের সংযোগস্থলে  অবস্থিত।

ঠিকানা :
 ১ ,পার্ক স্ট্রিট
কলকাতা - ৭০০০১৬

আশুতোষ সংগ্রহশালা :
এই সংগ্রহশালাটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের মধ্যে অবস্থিত। এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ একটি শিল্প সংগ্রহশালা। ১৯৩৭ সালে তৈরী হয় এই সংগ্রহশালাটি। ভারতের প্রথম কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত সংগ্রহশালা হল এই আশুতোষ সংগ্রহশালাটি।   এখানে বিভিন্ন যুগের শিল্পসামগ্রী সংরক্ষিত আছে।

ঠিকানা :
৮৭/১ কলেজ স্ট্রিট
কলকাতা - ৭০০ ০৭৩

বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড টেকনোলজি মিউজিয়াম :
দক্ষিণ কলকাতার গুরুসদয় রোডে অবস্থিত এই সংগ্রহশালাটি  ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ও প্রযুক্তি সম্বন্ধে প্রকৃত ধারণা তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই এটি চালু করা হয়। এখানকার আকর্ষণীয় ও শিক্ষণীয় গ্যালারিগুলো হলো অন্ধকারে বিশ্বপরিচয়, চিলড্রেন্স গ্যালারি, চিত্তাকর্ষক পদার্থবিদ্যা, পরিবহন, চালিকা শক্তি, জনপ্রিয় বিজ্ঞান, জৈবপ্রযুক্তি, ধাতু, বিদ্যুৎ, টেলিভিশন, ও গণিত।  এখানে টিকিটের বিনিময়ে দৈনিক বিজ্ঞানভিত্তিক  মজাদার  সব প্রদর্শন প্রদর্শিত হয়ে থাকে। সাধারণ দর্শকদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৩০/- টাকা। সকাল ১০টা  থেকে বিকেল ৫.৩০ পর্যন্ত সংগ্রহশালাটি খোলা থাকে।

ঠিকানা :
১৯এ , গুরুসদয় রোড
কলকাতা - ৭০০ ০১৯


পুলিশ মিউজিয়াম :
কলকাতা পুলিশের ব্যৱহৃত সরঞ্জাম ও ঐতিহাসিক নানারকম দুর্লভ সামগ্রীতে ও ছবিতে  জমজমাট একটা সংগ্রহশালা। এখানে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ব্যৱহৃত বেশ কিছু অস্ত্রসামগ্রীও সংরক্ষিত আছে। স্বাধীনতার আগে ও এখনকার কলকাতা পুলিশের ইতিহাস জানতে এখানে আসতে পারেন। এখানে ছবি তুলতে দেওয়া হয় না। এটি সকাল ১১টা  থেকে বিকেল ৫টা  পর্যন্ত সংগ্রহশালাটি খোলা থাকে। সংগ্রহশালাটি মানিকতলার কাছে অবস্থত।

ঠিকানা :
১১৩ আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র স্ট্রিট
কলকাতা - ৭০০ ০০৯

ভারতীয় রেলওয়ে জাদুঘর :
এই জাদুঘরটি অবশ্য কলকাতার মধ্যে পড়ছে না, তবুও কলকাতার খুব কাছে বলে আমি এটিকে কলকাতার মধ্যেই রাখলাম। এই সংগ্রহশালাটি উদ্বোধন হয় ২০০৬ সালের ৭ই এপ্রিল। ভারতীয় রেলের প্রথম থেকে বর্তমান পর্যন্ত ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে এখানে সংরক্ষিত করা আছে।  প্রতি সোমবার বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫.৩০ পর্যন্ত এটি খোলা থাকে। সংগ্রহশালাটি হাওড়া স্টেশনের পাশে অবস্থিত।

ঠিকানা :
রেল মিউজিয়াম ট্রয় ট্রেন লাইন
হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন
হাওড়া , পশ্চিমবঙ্গ - ৭১১১০১

 ভিক্টোরিয়া  মেমোরিয়াল হল :
এই হলটি যে কোনো দেশের পর্যটকের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। মহারানী ভিক্টোরিয়ার নামাঙ্কিত এই হলটি কলকাতার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা সংগ্রহশালা। এখানে অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীর বেশ কিছু দুর্লভ পুস্তক ও তৈলচিত্র সংরক্ষিত আছে। ব্রিটিশ আমলের সৈন্যদের ব্যৱহৃত কামান ও অন্যান্য সামগ্রীও সংরক্ষিত আছে। ১৯২১ সালে এই হলটি স্থাপিত হয়েছিল। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হলটি খোলা থাকে। প্রবেশ মূল্য ভারতীয় দর্শকদের জন্য ৩০/- টাকা আর সার্ক  দেশের পর্যটকদের জন্য ১০০ টাকা, ভারতীয় ও সার্ক  দেশ ছাড়া অন্যান্য দেশের পর্যটকদের জন্য ৫০০ টাকা নেওয়া হয়। সংগ্রহশালাটি পিজি হাসপাতালের বিপরীত দিকে অবস্থিত।

ঠিকানা :
১ কুইন্স ওয়ে
কলকাতা ময়দান
কলকাতা - ৭০০ ০৭১

নেতাজি ভবন :
দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর অঞ্চলে এই জাদুঘরটি অবস্থিত। ১৯৫৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।  এটি একটি স্মারক ভবন ও গবেষণা কেন্দ্র। এই ভবনের জাদুঘরে নেতাজীর পায়ের ছাপ রাখা আছে।  প্রতি সোমবার এটি বন্ধ থাকে, অন্যান্য দিন  সকাল ১১টা  থেকে বিকেল ৪.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। সংগ্রহশালাটি নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশনের কাছে অবস্থিত।

ঠিকানা :
৩৮/২ লালা লাজপত রায় সরণি
ভবানীপুর, কলকাতা - ৭০০ ০২০

বোট মিউজিয়াম :
এই সংগ্রহশালাটি কলকাতা শহরে নতুন সংযোজিত একটা সংগ্রহশালা। এখানে প্রায় ৫০ রকমের নৌকো ও জাহাজের প্রতিরূপ বানিয়ে রাখা আছে। খুবই সুন্দর সংগ্রহশালাটি। এই সংগ্রহশালাটি ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে কোনোরকম ছবি তুলতে দেওয়া হয় না।  প্রতি শনি ও রবিবার বন্ধ থাকে , অন্যন্য দিন সকাল ১০টা  থেকে বিকেল ৫.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। সংগ্রহশালাটি কাঁকুড়গাছিতে অবস্থিত।

ঠিকানা :
আম্বেদকর ভবন
পি ১/৪ সি আই টি স্কিম VII (এম )
ভি আই পি রোড
কলকাতা - ৭০০ ০৫৪


নেহেরু চিলড্রেন্স মিউজিয়াম :
চৌরঙ্গী  রোডের  ওপর  একটা সুন্দর  তিনতলা   বাড়িতে  এই  মিউজিয়ামটি  অবস্থিত।  ১৯৭২  সালের
২৪শে  নভেম্বর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর  নামাঙ্কিত এই মিউজিয়ামটি    তদকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর  রায় উদ্বোধন করেন। প্রায় ১৩০টি দেশের পুতুল ও তিনশোর বেশি গণেশের মূর্তি  দিয়ে সাজানো এক সুন্দর সংগ্রহশালা।  বাচ্ছাদের সাথে বড়রাও  এখানে ভিড় জমান।  সোমবার ও মঙ্গলবার এটি পূর্ণদিবস বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন সকাল ১১টা  থেকে সন্ধ্যে ৭টা  পর্যন্ত খোলা থাকে।  ষোলো বছরের নীচে বয়স হলে ১০ টাকা আর ষোলো বছরের উর্দ্ধে  ২০ টাকা প্রবেশ মূল্য  লাগবে। সংগ্রহশালাটি এক্সইড মোড়ে অবস্থিত।

ঠিকানা :
৯৪/১ চোরঙ্গী রোড
কলকাতা - ৭০০ ০২০


জাতীয় গ্রন্থাগার :
এই গ্রন্থাগারটি ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগার। এটি  দক্ষিণ কলকাতার আলিপুর অঞ্চলে চিড়িয়াখানার সামনে অবস্থিত।   প্রায় ২ কোটির ওপর বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে এখানে। ৩০ হেক্টর জায়গা নিয়ে এটি তৈরী।  সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা  থেকে রাত  ৮টা  আর শনিবার ও রবিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা  পর্যন্ত খোলা থাকে।

ঠিকানা :
বেলভেডিয়ার রোড
আলিপুর, কলকাতা - ৭০০ ০২৭


সাবর্ণ সংগ্রহশালা :
সাবর্ণ রায়চৌধুরীর নাম কলকাতার ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে।  ২০০৫ সালের ৫ই জুন সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের উদ্যোগে এই সংগ্রহশালাটি উদ্বোধন করা হয়। এখানে অসংখ্য প্রাচীন মানচিত্র , জমিদারির দলিল দস্তাবেজ, কলকাতার সুতানুটি গোবিন্দপুরের  প্রজাস্বত্ব হস্তান্তের দুষ্প্রাপ্য দলিলের কপি রয়েছে। পরিবারের ব্যৱহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্রের সংগ্রহও আছে।  বৃহস্পতিবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা  থেকে দুপুর ১২টা  আর বিকেল ৫টা  থেকে রাত  ৭টা  পর্যন্ত খোলা থাকে। সংগ্রহশালাটি বেহালার বরিশা অঞ্চলে অবস্থিত।

ঠিকানা :
সপ্তর্ষি ভবন, বড়বাড়ি
৬৭/৩ ডায়মন্ড হারবার রোড
বরিশা, কলকাতা - ৭০০ ০৩৪

জোড়াসাঁকো সংগ্রহশালা :
এই সংগ্রহশালাটি  সম্পূর্ণরূপে রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর পরিবারের স্মৃতিবিজড়িত এক সংগ্রহশালা। তিনতলা বিশিষ্ট সংগ্রহশালাটি বেশ সাজানো গোছানো এক সংগ্রহশালা। এখানে রবীন্দ্রনাথের ও তার পরিবারের ব্যৱহৃত বিভিন্ন সামগ্রী, অবনীন্দ্রনাথের বিভিন্ন অঙ্কন, রবীন্দ্রনাথের আঁতুরঘর, পড়ার ঘর, গান শোনার ঘর, সাহিত্য চর্চার ঘর ইত্যাদি দেখতে এখানে আসতে পাবেন।  প্রতি সোমবার এই সংগ্রহশালাটি পূর্ণদিবস বন্ধ থাকে। মঙ্গলবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সকাল ১০.৩০ থেকে বিকেল  ৫টা  পর্যন্ত খোলা থাকে।

ঠিকানা : 
২৬৭ রবীন্দ্র সরণি, সিঙ্গিবাগান,
জোড়াসাঁকো, কলকাতা - ৭০০ ০০৭

স্মরণিকা ট্রাম  মিউজিয়াম) :
এই সংগ্রহশালাটি ২০১৪ সালে উদ্বোধন করা হয়।  এখানে পুরোনো ট্রামের টিকিট, কযেন  এক্সচেঞ্জ মেশিন, কন্ডাক্টরের পরিহিত ইউনিফর্ম ও টুপি  ইত্যাদি। সংগ্রহশালাটিটি ধর্মতলা ট্রাম ডিপোর পাশে তৈরী করা হয়েছে। দর্শনের সময় দুপুর ১টা থেকে রাত  ৮টা  পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে ঢোকার জন্য সামান্য প্রবেশমূল্য লাগে।

ঠিকানা :
৬ সিদ্ধ কানু  ডহর, ধর্মতলা
কলকাতা - ৭০০ ০৬৯


মাদার ওয়াক্স মিউজিয়াম :
এই সংগ্রহশালাটি কলকাতার একদম কাছে নিউটাউনে অবস্থিত। ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে এটির উদ্বোধন করা হয়।   ভারতবর্ষের জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্যদের  মোম  দিয়ে তৈরী  মূর্তি করে রাখা আছে। সোমবার বাদ  দিয়ে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত  ৭.৩০ পর্যন্ত এই সংগ্রহশালাটি খোলা থাকে। এখানে প্রবেশ করার জন্য মূল্য দিতে হবে তিন বছর থেকে  ১২ বছর পর্যন্ত ১৫০/- টাকা আর ১২ বছরের  উর্দ্ধে ২৫০/- টাকা লাগে।

ঠিকানা : 
ফিনান্স সেন্টার, ৫ & ৬ তল
অ্যাকশন এরিয়া ২, সিবিডি ১
নিউ টাউন , কলকাতা - ৭০০ ১৫৬

মৌলানা আবুল কালাম মিউজিয়াম :
দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে ভারতরত্ন মৌলনা আবুল কালাম আজাদের বসতবাড়িটিই বর্তমানে মিউজিয়াম তৈরী করা হয়েছে। এখানে ওনার ব্যৱহৃত চশমা, লাঠি, জামাকাপড় ও নানারকম ছবি সরক্ষিত করা আছে।  ভারতরত্ন-এর  রেপ্লিকাও এখানে রাখা আছে।  এই মিউজিয়ামে প্রবেশ করার জন্য কোনো প্রবেশ মূল্য লাগে না।

ঠিকানা :
৫ লাভলক প্লেস
কলকাতা - ৭০০ ০১৯

গুরুসদয় মিউজিয়াম :
এই  সংগ্রহশালাটি বেহালার জোকা  অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে স্যার গুরুসদয় দত্তর সারাজীবনের সংগ্রহ করা সামগ্রী দিয়ে সাজানো। এটি ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্পের সংগ্রহশালা। এখানে সুক্ষ হস্তশিল্প, পোড়ামাটির প্যানেল, কথার কাজ, কালীঘাটের পটচিত্র সংরক্ষিত আছে। সোমবার বাদে প্রতিদিন সকাল ১১তা থেকে বিকেল ৫তা পর্যন্ত খোলা থাকে। ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৫ টাকা, ভারতীয়দের জন্য ১০ টাকা  আর বিদেশিদের জন্য ৫০ টাকা প্রবেশ মূল্য লাগে।

ঠিকানা :
ব্রতচারী গ্রাম,
পি৬  ডায়মন্ড হারবার রোড
ডায়মন্ড পার্ক , জোকা
কলকাতা - ৭০০ ১০৪

একাডেমি অফ ইন্ডিয়ান কয়েন্স এন্ড হিস্ট্রি :
১৯৯৭ সালে এটি তৈরী করা হয়।  একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান প্রাচীন ভারতীয় মুদ্রা ও ইতিহাস নিয়ে কাজ করে, তারাই  এই সংগ্রহশালাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তারাই এটি পরিচালনা করে।  যে কোনো কাজের দিন বেলা ১২টা থেকে  সন্ধ্যে ৬টা  পর্যন্ত এটি খোলা থাকে।

ঠিকানা :
৩৬২/বি রবীন্দ্র সরণি
কলকাতা

ফ্যানাটিক স্পোর্টস মিউজিয়াম:
এ যেন এক ছাদের তলায় এক টুকরো খেলার পৃথিবী। প্রখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক রোবিয়া মজুমদার ও হর্ষ নেওটিয়ার  যৌথ উদ্যোগে প্রায় সাত হাজার বর্গফুট এলাকা নিয়ে এই সংগ্রহশালাটি তৈরী করা হয়েছে।  এখানে সচিন টেন্ডুলকারের ১০০ তম সেঞ্চুরি করার ব্যাট যেমন আছে তেমন অন্যান্য সব ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের নানারকম ক্রীড়া সরঞ্জাম সংগ্রহ করে রাখা আছে।  এটা কলকাতার মুকুটে নবতম পালক। এখানে প্রবেশ করার জন্য সাধারনদের জন্য ১০০ টাকা আর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৫০ টাকা প্রবেশ মূল্য লাগে।

ঠিকানা :
রাজারহাট , কলকাতা


জাদুঘর বা সংগ্রহশালা হলো একটি দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংরক্ষিত আবাসস্থল। এইসব ঐতিহ্যকে  যথাযথভাবে  সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করা খুবই জরুরি। নতুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাসকে সঠিকভাবে জানানো খুবই প্রয়োজন। দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে জানার জন্য নতুন প্রজন্মের সাথে সবারই  এইসব জাদুঘর বা সংগ্রহশালা দেখা  উচিত।

তারিখ : ০৬-০৪-২০১৯
ছবি ও লেখার স্বত্ত্ব : সুদীপ্ত মুখার্জী

যোগাযোগ : ৯৮৩০৪২০৭৫০


 আমার এই লেখাটি যদি আপনার ভালো  লাগে, তাহলে  অবশ্যই   আপনার  মূল্যবান  মতামত কমেন্টের  মাধ্যমে জানাবেন। পরবর্তী লেখাগুলো  পেতে  ব্লগটিকে ফলো করে রাখুন। 


4 comments:

  1. Excellent writeup

    ReplyDelete
  2. সাবর্ণ সংগ্রহশালার ঠিকানাটা ভুল দেওয়া আছে। ওটা হবে - সপ্তর্ষি ভবন, 67/3 ডায়মন্ড হারবার রোড, বড়িশা, কোলকাতা 700008.

    আরেকটা বিষয়, কলকাতা তিনশ বছরের নয়। ওটা বিকৃত ইতিহাস। যোগাযোগ - 9830289400

    ReplyDelete