কলকাতার বিনোদন পার্ক
কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী, পূর্বে ভারতের রাজধানী ছিল। তিনশো বছরের ইতিহাসে সমৃদ্ধ একটা শহর। এই শহরের অলিতে গলিতে ইতিহাস লুকিয়ে আছে। আমাদের এই শহর কারো কাছে আনন্দনগরী বা "সিটি অফ জয়" আবার কারো কাছে আবর্জনায় ভরা এক নোংরা শহর। এখানকার জনজীবন কখনোই স্তব্ধ থাকে না। সারাবছরই মেলা, ধর্ণা, মিছিল-মিটিং চলতেই থাকে। হই-হট্টগোলের মাঝেও কিছুটা সময় একান্তে কাটানোর জন্য এখানে নিত্য-নতুন বিনোদন পার্ক গড়ে উঠছে। এইসব পার্কে গিয়ে আপনি আপনার পরিবারকে নিয়ে কিছুটা সময় আনন্দে কাটাতে পারেন। আপনার ক্লান্ত শরীরটাকে কিছুটা মনোমুগ্ধকর পরিবেশে বসে , শীতল বাতাসে ক্লান্তিমুক্ত করতে পারেন। এখানে আজ আমি এরকম কিছু পার্কের কথা লিখব। যে পার্কগুলো শহরবাসীর কাছে এক একটা অমূল্য পাওনা।
ময়দান বা গড়ের মাঠ কলকাতার কেন্দ্রস্থলে বিরাট জায়গা নিয়ে সবুজ ঘাসে ঢাকা মাঠটা রয়েছে। এটাকে শহর কলকাতার ফুসফুস বলা হয়। পৃথিবীর কোনো শহরের কেন্দ্রস্থলে এরকম সবুজে ঢাকা বিস্তীর্ণ অঞ্চল দেখাযায় না। পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভ করার পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৭৭ সালে গোবিন্দপুরে ফোর্ট উইলিয়াম নির্মাণের পর তার আশ-পাশের সব জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করে। এই জঙ্গল কাটার ফলেই একটা বিস্তীর্ন খালি জায়গা বেরিয়ে আসে। সেই খালি জায়গাটিই কলকাতা ময়দান। ময়দানটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অধীনে রয়েছে। তৃনাচ্ছাদিত ময়দানে প্রচুর বড় গাছ-গাছালি রয়েছে। এখানে গেলেই দেখা যায় বহু ছেলে ফুটবল বা ক্রিকেট খেলছে। ময়দানটির উত্তরদিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের বাসস্থানটি অবস্থিত। এই বাসস্থানের পিছনদিকে পৃথিবীর বৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়াম "ইডেন গার্ডেন্স" রয়েছে। ময়দানে অনেকগুলো ছোট বড় ক্রীড়া সংস্থার বাংলো রয়েছে। বেশ কয়েকটি বড় ক্রীড়া সংস্থার নিজস্ব গ্যালারি দিয়ে ঘেরা মাঠও তাদের বাংলোর সাথে রয়েছে । প্রতিদিন সকালে প্রচুর বয়স্ক লোকেরা এখানে প্রাতঃভ্রমণ করে।
ঠিকানা :
জওহরলাল নেহেরু রোড
কলকাতা
মোহরকুঞ্জঠিকানা :
জওহরলাল নেহেরু রোড
কলকাতা
২০০৫ সালে কলকাতা পৌর সংস্থা এই উদ্দ্যানটি তৈরী করে। উদ্দ্যানটি রবীন্দ্র সদনের ঠিক বিপরীত দিকে অবস্থিত। পূর্বে এই উদ্দ্যানটির নাম ছিল "সিটিজেন পার্ক"। প্রথিতযশা শিল্পী শ্ৰীমতী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর ২০০৭ সালে পার্কটি তাঁর নামে উৎসর্গিত করা হয়। তাঁর আসল নাম ছিল "অনিমা" আর ডাক নামছিল "মোহর"। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন স্বনামধন্য রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ও শিক্ষিকা। ১৯৩৫ সালে রবীন্দ্রনাথ তাঁর "অনিমা" নামটি পরিবর্তন করে "কণিকা" নাম রাখেন। এই পার্কটি তৈরী করতে ৬৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। পার্কটি নানারকম ফুলে সজ্জিত। বিভিন্ন জায়গায় বসার জন্য ব্যবস্থা আছে। এছাড়া একটা মুক্ত মঞ্চ আছে। এই মুক্ত মঞ্চে সারা বছর নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। পার্কটি সকাল ৫টা থেকে ৯টা আর দুপুর ৩টা থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে। পার্কটিতে ঢোকার জন্য কোনো প্রবেশ মূল্য লাগে না।
ঠিকানা :
ক্যাথিড্রাল রোড , রেস কোর্স
কলকাতা - ৭০০ ০২২
নন্দন-রবীন্দ্রসদন চত্বর
এই চত্বরটি মোহরকুঞ্জের ঠিক সামনে অবস্থিত। এই স্থানটিকে বা অঞ্চলটিকে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক পীঠস্থান হিসেবে গণ্য করা হয়। অঞ্চলটির মধ্যে ভারতবর্ষের প্রধান চারটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে। একদিকে রবীন্দ্র সদন, আর এক দিকে নন্দন নামে চলচ্চিত্রের দুটি প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে। এছাড়া শিশির মঞ্চ বলে একটা নাটকের প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে। শিশির মঞ্চের ঠিক সামনে দুটি তলা নিয়ে দুটি আর্ট এক্সজিবিশনের হলও রয়েছে। চত্বরটির পিছনদিকে একাডেমি অফ ফাইন আর্টস নাম একটা গ্যালারি ও সাথে একটা নাটকের মঞ্চও রয়েছে। এইসব মঞ্চ ও গ্যালারিগুলোতে প্রতিদিন নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এছাড়া বেশ কিছুটা ফাঁকা জায়গায প্রচুর বড় বড় গাছের সমারোহ আছে। এরকম গাছের ফাঁকে আর একটা মুক্ত মঞ্চও রয়েছে।এখানে গেলে দেখা যায় গাছের তলায় বসে বাচ্চা-বড় সবাই আড্ডায় ব্যস্ত আছে। এই আড্ডাস্থলটি যুবক-যুবতীদের প্রাণের জায়গা।
ঠিকানা :
১/১ এ জে সি বসে রোড
কলকাতা - ৭০০ ০২০
আলিপুর চিড়িয়াখানা ঠিকানা :
ক্যাথিড্রাল রোড , রেস কোর্স
কলকাতা - ৭০০ ০২২
নন্দন-রবীন্দ্রসদন চত্বর
এই চত্বরটি মোহরকুঞ্জের ঠিক সামনে অবস্থিত। এই স্থানটিকে বা অঞ্চলটিকে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক পীঠস্থান হিসেবে গণ্য করা হয়। অঞ্চলটির মধ্যে ভারতবর্ষের প্রধান চারটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে। একদিকে রবীন্দ্র সদন, আর এক দিকে নন্দন নামে চলচ্চিত্রের দুটি প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে। এছাড়া শিশির মঞ্চ বলে একটা নাটকের প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে। শিশির মঞ্চের ঠিক সামনে দুটি তলা নিয়ে দুটি আর্ট এক্সজিবিশনের হলও রয়েছে। চত্বরটির পিছনদিকে একাডেমি অফ ফাইন আর্টস নাম একটা গ্যালারি ও সাথে একটা নাটকের মঞ্চও রয়েছে। এইসব মঞ্চ ও গ্যালারিগুলোতে প্রতিদিন নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এছাড়া বেশ কিছুটা ফাঁকা জায়গায প্রচুর বড় বড় গাছের সমারোহ আছে। এরকম গাছের ফাঁকে আর একটা মুক্ত মঞ্চও রয়েছে।এখানে গেলে দেখা যায় গাছের তলায় বসে বাচ্চা-বড় সবাই আড্ডায় ব্যস্ত আছে। এই আড্ডাস্থলটি যুবক-যুবতীদের প্রাণের জায়গা।
ঠিকানা :
১/১ এ জে সি বসে রোড
কলকাতা - ৭০০ ০২০
মনোহর দাস তরাগ
বনবীথিই হল পূর্বতন মনোহর দাস তরাগ। এটি কলকাতা ময়দানের দক্ষিণদিকে অবস্থিত। এটা একটি বহু পুরোনো জলাশয়। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই জলাশয়টিকে নতুনভাবে সংস্কার, সংরক্ষণ ও সৌন্দযায়ন করা হয়েছে। জলাশয়টির চারপাশে বাঁধানো বেশ সুন্দর রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। জলাশয়টির চারদিকের পাড়গুলোকেও সুন্দর করে বাঁধানো হয়েছে। লোহার ফেন্সিং দিয়ে জলাশয়টিকে ঘেরা হয়েছে। আলোক সজ্জার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এখানে প্রবেশ করার জন্য কোনো প্রবেশ মূল্য লাগে না।
ঠিকানা :
ঠিকানা :
জওহরলাল রোড
কলকাতা
কলকাতা
ঠিকানা :
২ আলিপুর রোড
কলকাতা ৭০০ ০২৭
মিলেনিয়াম পার্ক
গত শতাব্দীর শেষ সময় এই পার্কটি গঙ্গার পূর্ব তীরে তৈরী করা হয়। খ্রিষ্ট বছর গণনার হিসেবে

ঠিকানা :
১২ স্ট্র্যান্ড রোড
বাবদীবাগ , কলকাতা ৭০০ ০০১
রবীন্দ্র সরোবর
এটি দক্ষিণ কলকাতায় অবস্থিত একটি কৃত্রিম জলাশয়। ১৯২০ সালে কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট
দক্ষিণ কলকাতার এই অঞ্চলের ১৯২ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে। তখন এই জায়গাটা বেশ ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছিল। অঞ্চলটিকে বসবাসযোগ্য করে তোলাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। ঠিক এই সময়েই তারা এখানে একটা বৃহৎ হ্রদ খনন করেন। যা তখন ঢাকুরিয়া লেক বলে পরিচিত ছিল।১৯৫৮ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের নামে এই হৃদটিকে নামাঙ্কিত করা হয়। হ্রদটিকে কেন্দ্র করেই পরবর্তীকালে এখানে গড়ে উঠেছে শিশু উদ্দ্যান, খেলার মাঠ, বাগান। ২০০৩ সালে জাতীয় হ্রদ সংরক্ষণ প্রকল্পে এই হ্রদটি সংযুক্ত হয়। হ্রদটির আয়তন ৭৩ একর আর বাকি অংশে প্রচুর গাছ-গাছালি রয়েছে। শীতকালে এই হ্রদে প্রচুর পরিযায়ী পাখীকে এখানে আসতে দেখা যায়। হ্রদটির উত্তর দিকে ১৯৫০ সালে ২৬০০০ আসন বিশিষ্ট একটা ফুটবল স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হয়েছিল। এখানে রবীন্দ্রনাথের একটা পূর্ণবয়ব ভাস্কর্য রয়েছে। হ্রদটির দক্ষিণদিকে একটা জাপানি বৌদ্ধ মন্দির আছে। হৃদটিতে বেশ কয়েকটি রোয়িং ও সুইমিং ক্লাব রয়েছে। হৃদটিতে একটা ঝুলন্ত সেতু ও একটা মসজিদও রয়েছে। এখানেই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের নামে নামাঙ্কিত একটা মুক্তমঞ্চ আছে। এই পার্কে ঢোকার জন্য কোনো প্রবেশ মূল্যের দরকার হয় না। পার্কটি ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকে।
ঠিকানা :
সাউদার্ন এভিনিউ
কলকাতা - ৭০০ ০২৯
সুভাষ সরোবর
কলকাতার বুকে দক্ষিণের রবীন্দ্র সরোবর আর পূর্বের সুভাষ সরোবর যেন কলকাতার দুই হৃৎপিণ্ড। এই সরোবর দুটি শহরের কোলাহলের মধ্যে থেকেও স্নিগ্ধ বাতাস নেওয়ার আদর্শ জায়গা। সুভাষ সরোবরে আসলেই দেখা যায় প্রচুর গাছ-গাছালিতে ভরপুর। শোনা যায় পাখিদের কলতান। এ যেন হারিয়ে যাওয়ার এক ঠিকানা। এই সরোবরটি সল্টলেকে স্টেডিয়ামের ঠিক বিপরীত দিকে অবস্থিত।
প্রকৃতি তীর্থ
এই পার্কটি কলকাতার নিউটাউন শহরে অবস্থিত ৪৮০ একর জায়গা নিয়ে তৈরী পার্কটি ভারতের বৃহত্তম পার্ক। এছাড়াও ১০৮ একর জায়গা নিয়ে একটা দ্বীপ রয়েছে। পার্কটি তিনটি অংশে বিভক্ত। এই থিম উদ্যানে দুটো জলাশয় ও তিরিশটি বিনোদনমূলক জায়গা আছে। ২০১২ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর পার্কটির উদ্বোধন করা হয়। পার্কটিতে বিভিন্ন রকমের গাছ রয়েছে। পার্কটি কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পার্কটি পরিচালনা করে পশ্চিমবঙ্গ হাউসিং ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (হিটকো) । দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে গ্রাম বাংলার রূপ তুলে ধরার উদ্দ্যেশ্য নিয়েই এই পার্কটি তৈরী করা হয়েছিল । এখানে নানারকম বাগান, মাস্ক গার্ডেন, রেস্তোরা, কটেজ , ট্রয় ট্রেন, ব্লাটারফ্লাই গার্ডেন আছে। এখানেই তৈরী করা হয়েছে "সাত আশ্চর্য"। এই সাত আশ্চর্য হলো পৃথিবীর বিখ্যাত সাতটি ঐতিহাসিক সৌধকে বেছে তাদের প্রতিরূপ দেওয়া হয়েছে। বিশাল দীঘি, সবুজে মোরা এই পার্কে বুকভরে স্নিগ্ধ বাতাস নেওয়ার জন্য এখানে আসতেই পারেন আপনারা। এই পার্কটি প্রতি সোমবার পূর্ণ দিবস বন্ধ থাকে। গ্রীষ্মকালে মঙ্গলবার থেকে শনিবার দুপুর ২.৩০ মিনিট থেকে রাত ৮.৩০ আর রবিবার ও ছুটির দিন দুপুর ১২টা থেকে রাত্রি ৯.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালে মঙ্গলবার থেকে শনিবার দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮.৩০ পর্যন্ত এবং রবিবার ও ছুটির দিনে সকাল ১১ টা থেকে রাত ৭.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। পার্কটিতে ঢুকতে গেলে ৩০ টাকা প্রবেশ মূল্য দিয়ে ঢুকতে হবে। দক্ষিণ কলকাতার এই অঞ্চলের ১৯২ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে। তখন এই জায়গাটা বেশ ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছিল। অঞ্চলটিকে বসবাসযোগ্য করে তোলাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। ঠিক এই সময়েই তারা এখানে একটা বৃহৎ হ্রদ খনন করেন। যা তখন ঢাকুরিয়া লেক বলে পরিচিত ছিল।১৯৫৮ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের নামে এই হৃদটিকে নামাঙ্কিত করা হয়। হ্রদটিকে কেন্দ্র করেই পরবর্তীকালে এখানে গড়ে উঠেছে শিশু উদ্দ্যান, খেলার মাঠ, বাগান। ২০০৩ সালে জাতীয় হ্রদ সংরক্ষণ প্রকল্পে এই হ্রদটি সংযুক্ত হয়। হ্রদটির আয়তন ৭৩ একর আর বাকি অংশে প্রচুর গাছ-গাছালি রয়েছে। শীতকালে এই হ্রদে প্রচুর পরিযায়ী পাখীকে এখানে আসতে দেখা যায়। হ্রদটির উত্তর দিকে ১৯৫০ সালে ২৬০০০ আসন বিশিষ্ট একটা ফুটবল স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হয়েছিল। এখানে রবীন্দ্রনাথের একটা পূর্ণবয়ব ভাস্কর্য রয়েছে। হ্রদটির দক্ষিণদিকে একটা জাপানি বৌদ্ধ মন্দির আছে। হৃদটিতে বেশ কয়েকটি রোয়িং ও সুইমিং ক্লাব রয়েছে। হৃদটিতে একটা ঝুলন্ত সেতু ও একটা মসজিদও রয়েছে। এখানেই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের নামে নামাঙ্কিত একটা মুক্তমঞ্চ আছে। এই পার্কে ঢোকার জন্য কোনো প্রবেশ মূল্যের দরকার হয় না। পার্কটি ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকে।
ঠিকানা :
সাউদার্ন এভিনিউ
কলকাতা - ৭০০ ০২৯
সুভাষ সরোবর
কলকাতার বুকে দক্ষিণের রবীন্দ্র সরোবর আর পূর্বের সুভাষ সরোবর যেন কলকাতার দুই হৃৎপিণ্ড। এই সরোবর দুটি শহরের কোলাহলের মধ্যে থেকেও স্নিগ্ধ বাতাস নেওয়ার আদর্শ জায়গা। সুভাষ সরোবরে আসলেই দেখা যায় প্রচুর গাছ-গাছালিতে ভরপুর। শোনা যায় পাখিদের কলতান। এ যেন হারিয়ে যাওয়ার এক ঠিকানা। এই সরোবরটি সল্টলেকে স্টেডিয়ামের ঠিক বিপরীত দিকে অবস্থিত।
ঠিকানা :
সুভাষ সরোবর পার্ক ,
ফুলবাগান, বেলেঘাটা
কলকাতা - ৭০০ ০১০
ঠিকানা :
মেজর আর্টেরিয়াল রোড (সাউথ-ওয়েস্ট)
অ্যাকশন এরিয়া ২, নিউটউন
কলকাতা - ৭০০ ১৫৬
এই পার্কটি ১৯৯১ সালে কলকাতার মানচিত্রে জুড়ে গেছে। কলকাতার এক শিল্পসংস্থা এটি তৈরী করে।এটা এক অন্যতম জনপ্রিয় ও বৃহত্তম চিত্তবিনোদনের উদ্যান। প্রায় ৪০ একর জায়গা নিয়ে পার্কটি তৈরী হয়েছে। এটাকে কলকাতার ডিজনিল্যান্ডও বলা হয়। যে কোনো বয়সের মানুষ এখানে আসতে পারেন। এখানকার রাইডগুলি বেশ রোমাঞ্চকর। বাইরের খাওয়া নিয়ে এখানে ঢুকতে দেওয়া হয় না, তবে ভেতরে সবরকম স্বাদের খাবারের স্টল আছে। এই পার্কটি প্রতিদিন খোলা থাকে। গ্রীষ্মকালে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা আর শীতকালে সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রবেশ মূল্য ১৫০ টাকা। এছাড়া ভিতরের বিভিন্ন পার্কে বিভিন্ন মূল্যের প্যাকেজ রয়েছে।
ঠিকানা :
সল্টলেকে বাইপাস ঝিলমিল
সেক্টর - ২, বিধাননগর
কলকাতা - ৭০০ ১০৬
নলবন বোটিং কমপ্লেক্স
যারা কোলাহল মুক্ত নির্জন জায়গা ভালোবাসেন তাদের জন্য এই জায়গাটি খুবই মনোরম লাগবে। এখানকার আকর্ষণের মধ্যে সম্পূর্ণ পায়ে চালানো হালকা ধরণের বোট ও শিকারা উল্লেখযোগ্য।
ঠিকানা :
এইচ এম ব্লক, নলবন ভেরি
বিধাননগর , কলকাতা - ৭০০ ১০৬
স্বভূমি
ঠিকানা :
সল্টলেকে বাইপাস ঝিলমিল
সেক্টর - ২, বিধাননগর
কলকাতা - ৭০০ ১০৬
নলবন বোটিং কমপ্লেক্স
যারা কোলাহল মুক্ত নির্জন জায়গা ভালোবাসেন তাদের জন্য এই জায়গাটি খুবই মনোরম লাগবে। এখানকার আকর্ষণের মধ্যে সম্পূর্ণ পায়ে চালানো হালকা ধরণের বোট ও শিকারা উল্লেখযোগ্য।
ঠিকানা :
এইচ এম ব্লক, নলবন ভেরি
বিধাননগর , কলকাতা - ৭০০ ১০৬
স্বভূমি
এটা একটা ঐতিহ্যপূর্ণ উদ্যান। এখানে এখনো ভারতীয় চারুকলাকে ধরে রেখেছে। সল্টলেক স্টেডিয়ামের ঠিক উল্টোদিকে সুভাষ সরোবর তার কাছেই এই উদ্যানটির অবস্থান। এখানে কারুশিল্প গ্রাম, শহর অঞ্চল, খাদ্য উদ্যান ও মীনা বাজার আছে। এখানে পশ্চিমবঙ্গের সব ঐতিহ্যসম্পন্ন সম্ভারের স্টল আছে।
ঠিকানা :
৮৯সি মৌলানা আবুল কালাম সরণি
কাঁকুড়গাছি, কলকাতা - ৭০০০৫৪
ঠিকানা :
৮৯সি মৌলানা আবুল কালাম সরণি
কাঁকুড়গাছি, কলকাতা - ৭০০০৫৪
সায়েন্স সিটি
এটি একটি বিজ্ঞান সংগ্রহশালা ও বিজ্ঞানকেন্দ্রিক বিনোদন উদ্যান। এই জায়গাটি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে খুবই শিক্ষণীয় জায়গা। সব বয়সের মানুষের কাছেই এখানে অনেক কিছুই শিক্ষণীয় আছে। এমন শিক্ষণীয় ও বিনোদনের উপযুক্ত স্থান ভারতে খুবই কম আছে। ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে অবস্থিত এই বিজ্ঞান কেন্দ্রটি শিক্ষার সাথে বাড়ানোরও উপযুক্ত একটা জায়গা। এটির মধ্যে একটি রোপওয়ে, ছোট বড় দুটি অডিটোরিয়াম ও ৮টি সেমিনার হল আছে। এখানে স্পেস এক্সিবিউশন, ডায়নামোশেন, আর্থ এক্সপ্লোরেশন, মেরিটাইম সেন্টার ও সায়েন্স পার্ক রয়েছে। এসবের প্রতিটি বিভাগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিজ্ঞান চিত্র প্রদর্শনী, থ্রিডি প্রদর্শনী ও চলচ্চিত্র অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। সায়েন্স সিটি প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে প্রবেশ করতে গেলে ৪০ টাকা প্রবেশ মূল্য দিয়ে ঢুকতে হবে। এছাড়া অভন্তরীন আকর্ষণগুলোর জন্য আলাদা আলাদা প্রবেশ মূল্য লাগে।
ঠিকানা :
জে বি এস হালডেনে এভিনিউ
ইস্ট তপসিয়া, কলকাতা - ৭০০ ০৪৬
মুদিয়ালী নেচার পার্ক
এই পার্কটি তারাতলা থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে ও ব্রেসব্রিজ স্টেশন থেকে পায়ে হেঁটেও যাওয়া যাওয়া যায়। ২০০৫ সালের ১০ই জুলাই পার্কটির উদ্বোধন করা হয়। বিশাল জায়গা নিয়ে পার্কটি তৈরী করা হয়েছে।পার্কটিতে বেশ কয়েকটা বড় বড় জলাশয় আছে। নানারকম ফুল ও বড় বড় গাছে পার্কটি একদম ভরপুর। " মুদিয়ালী ফিশারমেন্স কো -অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড" নামে এক সংস্থা বর্তমানে উদ্দ্যানটির দেখাশোনা করে। বাইরে থেকে দেখলে বোঝা যায়না ভিতরের এই সুবিশাল জায়গাটিকে। মাত্র ২৫/- টাকার বিনিময়ে একবার ভিতরে ঢুকলেই বুঝতে পারবেন এর বিশালতাটি। ঠিকানা :
জে বি এস হালডেনে এভিনিউ
ইস্ট তপসিয়া, কলকাতা - ৭০০ ০৪৬
মুদিয়ালী নেচার পার্ক
ঠিকানা :
তারাতলা রোড
পাহাড়পুর, গার্ডেনরিচ
কলকাতা - ৭০০ ০৮৮
হিমেল হাওয়ার পরশ গায়ে লাগলেই বোঝা যায়, শহরে শীত চলে এল। আর শহরে শীতের আগমন মানেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবীদের একটু নিয়ে ঘুড়ে বেড়ানো। ঘুড়ে বেড়ানোর কথা মনে আসলেই শহরবাসী উপরিল্লিখিত বিনোদন পার্কগুলিতে ঘুড়তে চলে আসে।
তারিখ : ০৭-০৩-২০১৯
লেখার স্বত্ব অধিকার : সুদীপ্ত মুখার্জী
যোগাযোগ : ৯৮৩০৪২০৭৫০
যোগাযোগ : ৯৮৩০৪২০৭৫০
➧ আমার এই লেখাটি ও ছবিগুলো যদি আপনার ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। পরবর্তী লেখাগুলো পেতে ব্লগটিকে ফলো করে রাখুন।
4 comments:
Asadharan
Khub bhalo laglo kolkatar sobkota Parke eksathe description diye lekha baire theke ghurte asle tader khub subidha hobe
সুদিপ্তদা আজ আপনাকে নূতন ভাবে চিনলাম। আমার আমার অতি পরিচিত জায়গা এই কলকাতা আমার জন্মস্থান সেই শহরের বিশেষ বিশেষ অঞ্চলের ব্যাখা খুব সুন্দর করে গুছিয়ে কেমন গল্পবলার ভঙ্গিতে প্রকাশ করেছেন। ধন্যবাদ আপনার জন্য যথেষ্ট নয়। পরবর্তী কালে লেখা পড়বার অপেক্ষায় রইলাম। নমস্কার অন্তে পার্থ মিত্র ।মধ্য হাওড়া
Apurbo , khub valo laglo.....
Post a Comment