নাটুকে রামনারায়ন
তখন ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়। কৌলিন্যপ্রথা ও বহুবিবাহ নিয়ে সমাজে প্রবল আন্দোলন চলছিল, নানারকম কুসংস্কার সমাজকে আস্টেপিষ্ঠে ধরেছে। সমাজের রন্ধে রন্ধে কৌলিণ্য প্রথার কুফল পড়ছিল। ঠিক সেই সময় "রংপুর বার্তাবহ" নামের একটা কাগজে "নাটক চাই" বলে একটা বিজ্ঞাপন বের হয়। বিজ্ঞাপনে নাটকের বিষয়বস্তু হতে হবে কৌলিন্যপ্রথার বিরুদ্ধে ও কি ভাষায় লেখা হতে হবে তা জানানো ছিল। এছাড়া সময়সীমা ছয় মাস ও পুরস্কারস্বরূপ লেখককে পঞ্চাশ টাকা দেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞাপনদাতা অধুনা বাংলাদেশের রংপুরের সম্ভ্রান্ত জমিদার কালীচন্দ্র রায়চৌধুরী জানিয়েছিলেন।
সংস্কৃত কলেজের তরুণ অধ্যাপক রামনারায়ণ তর্করত্নের নজরে বিজ্ঞাপনটি পড়ে। তিনি তাঁর জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে একটি নাটক লিখে রংপুরের ঠিকানায় নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্যে পাঠিয়ে দিলেন। নাটকটি পড়ে জমিদারবাবু মুগ্ধ হয়ে গেলেন। তিনি এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে এই নাটকের জন্য তিনি রামনারায়াণকে একবার নয়, দু দুবার পুরস্কার দিলেন। একবার নাটক লেখার জন্য আর একবার নাটকটি বই আকারে প্রকাশিত হওয়ার সময় । বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর সকলে মুগ্ধ হয়ে গেলো এবং তরুন রামনারায়ণের নাম শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়লো। লোকে ভালোবেসে তাঁকে "নাটুকে রামনারায়ণ" বলে ডাকতে লাগলেন । এই "কুলীন কুল সর্বস্ব" নাটকটিই কলকাতা তথা বাংলার প্রথম নাটক বলে পরিচিত। রামনারায়ণ তর্করত্ন নবজাগরণের লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। এই নাটকটিই প্রথম বিধিবদ্ধ পূর্ণাঙ্গ নাটক হিসেবে রচিত হয়েছিল।
১৮৫৪ সালে "কুলীন কুল সর্বস্ব" নাটকের পর থেকে ১৮৭৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৪ টা নাটক তিনি রচনা করে গেছেন। যেমন কর্ম তেমন ফল (১২৭৯ বঙ্গাব্দে ), নব-নাটক (১৮৬৬ সালে), বেনি-সংহার (১৮৬৫ সালে ), রত্নাবলী (১৮৫৮ সালে), চক্ষুদান (১৮৬৯ সালে), উভয়সংকট (১৮৬৯ সালে), মালতি মাধব (১৮৬৭ সালে), রুক্মিণীহরণ (১৮৭১ সালে), কংসবধ (১৮৭৫ সালে), অভিজ্ঞান শকুন্তলম (১৮৬০ সালে ), ধর্মবিজয় (১৮৭৫ সালে) ইত্যাদি নাটক তাঁর হাতেই লেখা।
একবার ঠাকুর বাড়ির নাট্যপ্রিয় জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ও গুনেন্দ্রনাথ জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির দোতলায় একটা নাট্যশালা তৈরী করেন। স্টেজ বাধা হলো, পটুয়াদের দিয়ে দৃশ্যপট আঁকানো হলো, এবার একটা জবরদস্ত নাটক খোঁজার পালা। নাটকের খোঁজে তাঁরা রামননারায়ণের স্মরণাপন্ন হলেন। তাঁদের অনুরোধে "কুপ্রথা বিষয়ক নাটক" বলে একটা নাটক রামনারায়ণ লিখে দিলেন। নাটকটা তাঁদের খুব পছন্দ হলো কিন্তু নাটকের নামটা তাঁদের ভালো লাগলো না। তাঁদের অনুরোধে নামটা পরিবর্তন করে "নব-নাটক" রাখা হলো।
রামনারায়ণ একজন সংস্কৃত পন্ডিত হলেও তিনি সামাজিক সমস্যা ও রসাত্মকবোধক নাটক লিখতে বেশি পছন্দ করতেন। তিনি নাটক ও তার অলংকরণে রসপুষ্ট ছিলেন। তাঁর নাটকগুলি ছিল সম্পূর্ণ বাস্তব ও স্বচ্ছন্দ ভাষায় লেখা। তিনি সামাজিক সমস্যা নিয়ে নাটক, পৌরাণিক বিষয় নিয়ে নাটক ও প্রহসন প্রভৃতি লিখেছেন। লঘু কৌতুককে মাধ্যম হিসেবে তার ভাষায় ব্যবহার করতেন। ব্যক্তি বা সমাজজীবনের ছোটোখাট অসঙ্গতিগুলোকে সন্ধান করে তাতে ব্যঙ্গাত্বক রস কিংবা শ্লেষকে যুক্ত করে লিখতেন।
পুরোহিতের বা ব্রাহ্মণ এর মূর্খতা, ব্রাহ্মণ এর দারিদ্রতা, তাদের লোভ, ব্রাহ্মণ পন্ডিতদের কৃত্রিম জীবনাচারণ, ঘটকদের শঠতা এইসব বিষয় তাঁর লেখা নাটকগুলিতে বার বার উঠে এসেছে। তার লেখা সব নাটকই সেই সময় জনপ্রিয় হয়েছিল, তবে হাস্যরসে ভরা প্রহসনগুলো তার শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় বহন করে। মধুসূধনের আগে যারা নাটক লিখেছিলেন তাদের মধ্যে রামনারায়ণই সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ছিলেন।
"কুলীন কুল সর্বস্ব" নাটকটিতে তিনি কৌলিন্য প্রথার দোষ ও তার অসঙ্গতি হাস্যরসাত্মক দৃশ্যের মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন। এক পিতার চার কন্যা ছিল। তাদের সবারই বয়স হওয়া সত্ত্বেও বিবাহ দিতে পারেনি তাদের পিতা। অবশেষে তিনি একজন কুৎসিত দর্শন বৃদ্ধের সাথে কন্যাদের বিয়ে দিতে বাধ্য হন। নাটকটির এটাই মূল বিষয়। নাটকটি ছয় ভাগে বিভক্ত। প্রত্যেক ভাগই বিশেষ বিশেষ ব্যাঙ্গের ভিতর দিয়ে সরস ও চিত্তাকর্ষক ছিল। নাটকটিতে তিনি কখনই গুরুগম্ভীর ভাষা ব্যবহার করেননি। সরস ও লঘু ভাষায়ই নাটকটিতে স্থান পেয়েছিল। নাটকটি তিনি কিছুটা গদ্য ও কিছুটা পদ্যের সাহায্যে লিখেছিলেন। কুলীনের কুলই যে সর্বস্ব সেটাই তিনি নাটকটির মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন।
"নব-নাটক" এই নাটকটিতে তিনি সেভাবে হাস্যরস ব্যবহার করেননি। একটু তত্বকথার সাহায্যে তিনি সেই আমলের সামাজিক জীবনের নানা রকম বাস্তব ছবিকে তুলে ধরেছিলেন। নাটকটিতে যেমন বহুবিবাহের কথা ছিল তেমনি ভাষা সমস্যার কথাও আলোচিত হয়েছিল। "যেমন কর্ম তেমন ফল" এটা লিখেছিলেন সম্পূর্ণ প্রহসন হিসেবে। স্বচ্ছ ও লঘু সংলাপের মাধ্যমে তিনি প্রহসনটি লিখেছেন। দুই অংকের এই প্রহসনটি তাহার দক্ষতার প্রমাণ রাখে। "চক্ষুদান" এটিও একটি ছোট্ট প্রহসন। তদকালীন লাম্পট্যদুষ্ট সমাজকে নিয়েই তিনি লিখেছিলেন। "উভয়সংকট" এটিও একটা ছোট্ট প্রহসন। সেই আমলের সম্পত্তি সমস্যাকে নিয়ে সরস ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে লেখা। "রুক্ষিণীহরণ" এই নাটকটি সম্পূর্ণ পৌরাণিক ঘটনাকে নিয়ে লিখেছিলেন। ঘটনাটি পৌরাণিক হলেও তার মধ্যে তিনি নতুন নতুন কিছু চরিত্রকে ঢুকিয়েছিলেন। রসিক রামনারায়ণের হাতে পড়ে এই পৌরাণিক চরিত্রগুলোও লৌকিক বাস্তবতায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল।
রামনারায়ণ একজন সংস্কৃত পন্ডিত হলেও তিনি সামাজিক সমস্যা ও রসাত্মকবোধক নাটক লিখতে বেশি পছন্দ করতেন। তিনি নাটক ও তার অলংকরণে রসপুষ্ট ছিলেন। তাঁর নাটকগুলি ছিল সম্পূর্ণ বাস্তব ও স্বচ্ছন্দ ভাষায় লেখা। তিনি সামাজিক সমস্যা নিয়ে নাটক, পৌরাণিক বিষয় নিয়ে নাটক ও প্রহসন প্রভৃতি লিখেছেন। লঘু কৌতুককে মাধ্যম হিসেবে তার ভাষায় ব্যবহার করতেন। ব্যক্তি বা সমাজজীবনের ছোটোখাট অসঙ্গতিগুলোকে সন্ধান করে তাতে ব্যঙ্গাত্বক রস কিংবা শ্লেষকে যুক্ত করে লিখতেন।
পুরোহিতের বা ব্রাহ্মণ এর মূর্খতা, ব্রাহ্মণ এর দারিদ্রতা, তাদের লোভ, ব্রাহ্মণ পন্ডিতদের কৃত্রিম জীবনাচারণ, ঘটকদের শঠতা এইসব বিষয় তাঁর লেখা নাটকগুলিতে বার বার উঠে এসেছে। তার লেখা সব নাটকই সেই সময় জনপ্রিয় হয়েছিল, তবে হাস্যরসে ভরা প্রহসনগুলো তার শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় বহন করে। মধুসূধনের আগে যারা নাটক লিখেছিলেন তাদের মধ্যে রামনারায়ণই সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ছিলেন।
"কুলীন কুল সর্বস্ব" নাটকটিতে তিনি কৌলিন্য প্রথার দোষ ও তার অসঙ্গতি হাস্যরসাত্মক দৃশ্যের মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন। এক পিতার চার কন্যা ছিল। তাদের সবারই বয়স হওয়া সত্ত্বেও বিবাহ দিতে পারেনি তাদের পিতা। অবশেষে তিনি একজন কুৎসিত দর্শন বৃদ্ধের সাথে কন্যাদের বিয়ে দিতে বাধ্য হন। নাটকটির এটাই মূল বিষয়। নাটকটি ছয় ভাগে বিভক্ত। প্রত্যেক ভাগই বিশেষ বিশেষ ব্যাঙ্গের ভিতর দিয়ে সরস ও চিত্তাকর্ষক ছিল। নাটকটিতে তিনি কখনই গুরুগম্ভীর ভাষা ব্যবহার করেননি। সরস ও লঘু ভাষায়ই নাটকটিতে স্থান পেয়েছিল। নাটকটি তিনি কিছুটা গদ্য ও কিছুটা পদ্যের সাহায্যে লিখেছিলেন। কুলীনের কুলই যে সর্বস্ব সেটাই তিনি নাটকটির মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন।
"নব-নাটক" এই নাটকটিতে তিনি সেভাবে হাস্যরস ব্যবহার করেননি। একটু তত্বকথার সাহায্যে তিনি সেই আমলের সামাজিক জীবনের নানা রকম বাস্তব ছবিকে তুলে ধরেছিলেন। নাটকটিতে যেমন বহুবিবাহের কথা ছিল তেমনি ভাষা সমস্যার কথাও আলোচিত হয়েছিল। "যেমন কর্ম তেমন ফল" এটা লিখেছিলেন সম্পূর্ণ প্রহসন হিসেবে। স্বচ্ছ ও লঘু সংলাপের মাধ্যমে তিনি প্রহসনটি লিখেছেন। দুই অংকের এই প্রহসনটি তাহার দক্ষতার প্রমাণ রাখে। "চক্ষুদান" এটিও একটি ছোট্ট প্রহসন। তদকালীন লাম্পট্যদুষ্ট সমাজকে নিয়েই তিনি লিখেছিলেন। "উভয়সংকট" এটিও একটা ছোট্ট প্রহসন। সেই আমলের সম্পত্তি সমস্যাকে নিয়ে সরস ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে লেখা। "রুক্ষিণীহরণ" এই নাটকটি সম্পূর্ণ পৌরাণিক ঘটনাকে নিয়ে লিখেছিলেন। ঘটনাটি পৌরাণিক হলেও তার মধ্যে তিনি নতুন নতুন কিছু চরিত্রকে ঢুকিয়েছিলেন। রসিক রামনারায়ণের হাতে পড়ে এই পৌরাণিক চরিত্রগুলোও লৌকিক বাস্তবতায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল।
এই "নাটুকে রামনারায়ণ" ছিলেন বাংলার প্রথম মৌলিক নাট্যকার। বাংলা সাহিত্যে প্রথম বিধিবদ্ধ পূর্ণাঙ্গ নাটক রামনারায়ণ তর্করত্নই রচনা করেছিলেন। তিনি "হরিনাভি বঙ্গনাট্য সমাজ"- এর প্রতিষ্ঠাতা । এই "হরিনাভি বঙ্গ নাট্য সমাজ" সংস্থাটি তিনি ১৮৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত করেন। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার হরিনাভি গ্রামের এক পন্ডিত বংশে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৮২২ সালের ২৬শে ডিসেম্বর। তাঁর পিতা রামধন সেই সময়ের একজন নামকরা পন্ডিত ছিলেন,। তাঁর দাদা প্রাণকৃষ্ণ মহাশয় সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। গ্রামের চতুস্পাঠীতে বাল্যশিক্ষা লাভ করার পর রামনারায়ণ কলকাতার সংস্কৃত কলেজে ১৮৪৩ সাল থেকে ১৮৫৩ সাল পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি মাত্র ২৭ বছর বয়সে সংস্কৃত কলেজেই অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ১৮৮২ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর কলকাতা ছেড়ে নিজের গ্রামে গিয়ে নিজেই একটা চতুস্পাঠী খোলেন। এখানেই তিনি শিক্ষাদানের মাধ্যমে বাকি জীবনটা কাটান । ১৮৮৬ সালের ১৯ শে জানুয়ারি মাত্র ৬৩ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
পরবর্তীকালে সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের সাথে নাটক সাহিত্যেও পরিবর্তন ঘটেছিল। রামনারায়ণ তর্করত্নর পর মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় প্রমুখ দিকপাল লেখকদের রচনায় নাটকের বিভিন্নরূপ উঠে এসেছে। এঁনাদের রচনায় আমরা পৌরাণিক, সামাজিক ও ঐতিহাসিক ঘটনার পরিপেক্ষিতে রচিত বিভিন্ন নাটক পেয়েছি।
পরবর্তীকালে সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের সাথে নাটক সাহিত্যেও পরিবর্তন ঘটেছিল। রামনারায়ণ তর্করত্নর পর মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় প্রমুখ দিকপাল লেখকদের রচনায় নাটকের বিভিন্নরূপ উঠে এসেছে। এঁনাদের রচনায় আমরা পৌরাণিক, সামাজিক ও ঐতিহাসিক ঘটনার পরিপেক্ষিতে রচিত বিভিন্ন নাটক পেয়েছি।
তারিখ : ০৯-০২-২০১৯
ছবি ও লেখার স্বত্ব অধিকার : সুদীপ্ত মুখার্জী
ছবি ও লেখার স্বত্ব অধিকার : সুদীপ্ত মুখার্জী
যোগাযোগ : ৯৮৩০৪২০৭৫০
➧ আমার এই লেখাটি যদি আপনার ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। পরবর্তী লেখাগুলো পেতে ব্লগটিকে ফলো করে রাখুন।
4 comments:
Khub valo
আসলে আমি এই বিষয়ে বিশদে পূর্ণেন্দু পত্রীর কলকাতার গল্পসল্প থেকে ইতিমধ্যে পড়েছিলাম এবং ভালো লেগেছিল । তোমার পোস্টে মোটামুটি সেই কথাগুলোই রয়েছে । অতিরিক্ত কথাগুলো আমি আমার সংগ্রহে যোগ করে নিয়েছি । তোমার ব্লগটি খুবই সুন্দর । আচ্ছা তুমি আমাকে এই ব্যাপারে একটি খবর দিতে পারো । নেটে রামনারায়ণ তর্কালংকারের যে মূর্তিটি একটি স্তম্ভের উপর খাড়া অবস্থায় দেখা যায় ,ওটি কোথায় অবস্থিত ।
ওই মূর্তিটি হরিনাভিতে আছে বলে শুনেছি, আমি কখনো যায়নি
হ্যা হরিনাভীতেই আছে
Post a Comment