বুদ্ধগয়া
তরুণ সন্ন্যাসী রাজপুত্র সিদ্ধার্থ আজ থেকে প্রায় ২৫০০ বছর আগে তাঁর ভরা যৌবনে সমস্ত রাজসিক সুখ ত্যাগ করে উরুবেলায় এসেছিলেন। এই উরুবেলাই বর্তমানের বুদ্ধগয়া। আমরা জানি নেপালের লুম্বিনীতে রাজপুত্র গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয়। উত্তরপ্রদেশের বেনারসের কাছে ইসিপতনে (বর্তমান সারনাথ) তিনি তাঁর পাঁচ শিষ্যকে প্রথম ধর্মোপদেশ শুনিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশেরই কুশীনগরে ৮০ বছর বয়সে তাঁর মহাপরিনির্বাণ হয়। আমরা এও জানি যে এই উরুবেলাতেই তিনি বুদ্ধত্ব লাভ করেছিলেন।
বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে মাত্র ১১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পূর্বের উরুবেলা বর্তমানের বুদ্ধগয়া। তখনকার উরুবেলা জায়গাটার জমি খুবই উর্ব্বর ছিল। সবসময় সবুজ শষ্যে ভরা থাকত। উরুবেলার পাশ দিয়েই বয়ে চলত ফল্গু নদী (নৈরঞ্জনা)। তরুণ সিদ্ধার্থ সাধনায় আত্মিনিয়োগ করার জন্য এরকমই একটা নির্জন নিস্তব্দ স্থানের সন্ধান করছিলেন। তিনি বহু নগর-গ্রাম, নদী-পর্বত পাড় হয়ে এখানে এসে পৌঁছেছিলেন। চলার পথে বহু বাঁধা-বিঘ্ন এবং কঠোর কৃচ্ছসাধন করে তবেই তিনি এই স্থানে আসতে পেরেছিলেন। এখানে আসার পর সিদ্ধার্থ এখানকার এক বটবৃক্ষের তলায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেইসময় এই গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের কন্যা সুজাতা একটা সোনার বাটিতে পায়েস রান্না করে সিদ্ধার্থকে খাওয়ান। ক্ষুদার জ্বালায় সিদ্ধার্থ সম্পূর্ণ পায়েস খেয়ে নিয়েছিলেন। সুজাতা কুমারী থাকাকালীন এই বটবৃক্ষের কাছে এসে বৃক্ষদেবতার কাছে মানত করেছিলেন যদি তার উপযুক্ত ও সমগোত্র সম্পন্ন পাত্রের সাথে বিবাহ হয় এবং প্রথম সন্তান যদি ছেলে হয়, তাহলে সে এই বটবৃক্ষের তলায় তিনি পুজো দেবে। সৌভাগ্যবশত তার আশা পরিপূর্ণ হওয়ায় তার শশুরবাড়ি বেনারস থেকে এসে তিনিএই বটবৃক্ষের তলায় পুজো দিতে এসেছিলেন। আহার শেষ করার পর সিদ্ধার্থ বৃক্ষের তলায় কিছুক্ষন বিশ্রাম করে স্রোতসিনী নৈরঞ্জনা নদী পাড় করার উদ্দেশ্যে জলে নামেন। অগভীর জলে হেঁটে তিনি নদীর মাঝখানে এসে সোনার বাটিটিকে জলের ওপর রেখে দিলেন, আর বললেন "যদি আমি বুদ্ধত্ব লাভ করতে পারি তাহলে বাটিটি স্রোতের বিপরীত দিকে ভেসে যাবে, আর যদি বুদ্ধত্ব লাভ করতে অসমর্থ হই তাহলে বাটিটি স্রোতের অনুকূলে যাবে"। একথা বলার পর সিদ্ধার্থ দেখলেন যে বাটিটি স্রোতের বিপরীতদিকে চলে যাচ্ছে। তখন তাঁর মনে বিশ্বাস আসলো যে তিনি বুদ্ধত্ব লাভ করেছেন। এরপর তিনি নদী পাড় করে একটা অশ্বথ গাছের তলায় আসলেন। এই গাছের তলাতেই তিনি কঠিন তপস্যায় বসলেন। এই জায়গাটিই গৌতম বুদ্ধের বুদ্ধত্ব লাভের স্থানরূপে চিহ্নিত হয়ে গেছে। বৌদ্ধদের কাছে জায়গাটি খুবই পবিত্র স্থান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধদের আর্থিক সাহায্যে এখানে অসখ্য মন্দির, ধর্মশালা, বিহার ও সাধনাকেন্দ্র গড়ে উঠেছে যা বুদ্ধগয়াকে একটা আন্তর্জাতিক নগরীতে পরিণত করেছে।\
দর্শনীয় স্থান :
মহাবোধি বিহার :
মহাবোধি বিহার মন্দিরটি মঠের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। মন্দিরটি অপূর্ব শিল্প নৈপুণ্যে নির্মিত। দ্বিতল মন্দিরটির নীচের অংশ ৪০ বর্গফুট আর উচ্চতা ১৭০ ফুট। চতুস্কোনাকৃতি মন্দিরটি নীচের থেকে ক্রমশ উপরের দিকে সূক্ষ্ম হয়ে গেছে। মন্দিরটির ভিতরে নীচের তলায় একটি সুন্দর একটি বুদ্ধদেবের মূর্তি রয়েছে। উপরের তলায় বুদ্ধদেবের মাতৃদেবী মায়াদেবীর মূর্তি আছে। মঠের চারদিকেই পুণ্যার্থীরা ধ্যান বা প্রার্থনার মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করছে দেখা যায়। মন্দিরটি সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন। বুদ্ধগয়ার এই মহাবোধি বিহার বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র ও শ্রেষ্ঠতম তীর্থ স্থান হিসেবে পূজিত হয়। সারা বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ও নির্বাণকামী মানুষ এই স্থানে এসে তীর্থদর্শন করেন ও তাদের মনোবাঞ্ছা পুরণার্থে ধ্যান-সমাধি করেন ও পূজা দিয়ে থাকেন।
বোধিবৃক্ষ
পরম পবিত্র বোধিবৃক্ষটি বুদ্ধগয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। এই বৃক্ষের শান্ত সুশীল ছায়ায় বসেই সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধত্ব বা জ্ঞানলাভ করেছিলেন। এই বোধিবৃক্ষটি পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন বৃক্ষরূপে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী প্রচুর ঝড়-ঝাপটা ও মানুষের অত্যাচার সহ্য করে এখনও দাঁড়িয়ে আছে। বৃক্ষের এই জায়গাটিকে তীর্থযাত্রীরা পরম শ্রদ্ধার সাথে দর্শন করে।
সুজাতা কুঠি
মহাবোধি বিহার মন্দিরটির থেকে নৈরঞ্জনা নদী পাড় হয়ে কিছুটা গেলে একটা মাটির স্তুপ দেখা যায়। এই স্তূপটিই হল সুজাতার পৈতৃক বাস্তুভিটা। বৌদ্ধ যাত্রীরা এই স্থানে গিয়ে মাটির স্তূপটিকে শ্রদ্ধা জানান।
মুচলিন্দ্র সরোবর
মহাবোধি মন্দিরের দক্ষিণদিকে একটা পুকুর দেখা যায়, সেটাই মুচলিন্দ্র হ্রদ বা সরোবর। এই হ্রদের তীরে বসেই ছয় সপ্তাহ ধরে ভগবান বুদ্ধ শাক্যমুনি ধ্যানমগ্ন ছিলেন। এই জায়গাটিতে ভগবান যখন আধ্যাতিক চিন্তায় মগ্ন ছিলেন, তখন ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছিল। ভগবান বুদ্ধকে ঝড়-বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নাগরাজ মুচলিন্দ্র নিজের শরীর দিয়ে ভগবানকে ঘিরে রেখেছিলেন এবং তার ফণা দিয়ে মাথা ঢেকে রেখেছিলেন। এইভাবে ছয় সপ্তাহ ধরে তিনি ভগবানকে রক্ষা করেছিলেন। এজন্য এই পুকুরটিকেই মুচলিন্দ্র হ্রদ বা সরোবর বলা হয়। পূর্বে হিন্দুরা এখানে ব্রাহ্মণদের সাহায্যে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের পিন্ডদান করত। এই কারণে এটাকে অনেকে বোধিকুণ্ডও বলে থাকে। ব্রম্ভদেশের পুণ্যাথীরা পুকুরটির মাঝখানে একটা বুদ্ধদেবের মূর্তি ও মূর্তিটির মাথার ওপর নাগরাজের ফণা বিস্তিত রয়েছে, এমন একটা মূর্তি তৈরী করে দিয়েছেন।
আশি ফুট বুদ্ধ মূর্তি
এই মূর্তিটি স্থাপন করার পর থেকে বুদ্ধগয়ার আকর্ষণ বহুগুণ বেড়ে গেছে। মূর্তিটি জাপানি ভক্তরা তৈরী করে দেন। মূর্তিটির দুপাশে দাঁড়ানো অন্যান্য প্রখ্যাত বুদ্ধভক্তদের মূর্তিও রয়েছে। মূর্তিটি জাপানি মন্দির সংলগ্ন স্থানে পূর্বমুখ করে খোলা আকাশের নীচে স্থাপন করা হয়েছে।
থাই মন্দির
অনন্য শিল্প নৈপুণ্যে সমৃদ্ধ থাই মন্দিরটি। ১৯৫৬ সালে ১১ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে থাই সরকার মন্দিরটি স্থাপন করে দেন থাই ভক্তদের জন্য। মন্দিরটি বিশাল জায়গা নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে। এই মন্দিরের ভিতরে অষ্টধাতুর একটা বুদ্ধ মূর্তিটি রয়েছে। মূর্তিটি খুবই সুন্দর।
তিব্বতি মন্দির
এই মন্দিরটি শ্রীলংকা ধর্মশালার উত্তর পাশে রয়েছে। এই মন্দিরে ১৯৩৮ সালে লাদাখের বিখ্যাত লামা খনগো ওবংগ সোমন তিব্বত ও লাদাখবাসীদের অর্থানুকূল্যে স্থাপন করেন। অপরূপ সাজে সজ্জিত মৈত্রেয় বোধিসত্ত্বের প্রতিমূর্তি রয়েছে মন্দিরটিতে। দ্বিতীয় তলায় অসংখ্য ধর্মীয় উপকরণ ও পুস্তকের পাণ্ডুলিপিও রয়েছে। প্রথম তলায় একটা বিশাল আকারের ২০ টনের বেশি একটি ঘন্টাকৃতির বিরাট চক্র রয়েছে।
জাপানি মন্দির
মহাবোধি মন্দিরের দক্ষিণ -পশ্চিমে দুটি মন্দির রয়েছে, . এই মন্দির দুটি হল পুরাতন ও নতুন জাপানি মন্দির। মন্দির দুটিতে ভূমি স্পর্শ মুদ্রায় দুটি বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে। জাপানি শিল্পরীতিতে মূর্তিগুলো ও মন্দিরটি তৈরী করা হয়।
কিভাবে যাবেন :
বুদ্ধগয়ার নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হল গয়া। হাওড়া থেকে দিল্লিগামী যে কোন ট্রেনই গয়া হয়ে যায়। তাই গয়া পৌঁছোবার জন্য প্রচুর ট্রেন রয়েছে। গয়া থেকে বুদ্ধগয়ার দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার।গয়া রেল স্টেশনের ঠিক বাইরে থেকে শেয়ার অটো ধরতে পারেন অথবা অটো রিজার্ভ করেও যেতে পারেন। এছাড়া গয়া স্টেশন থেকে বাসও যাচ্ছে বুদ্ধগয়াতে। গোয়া থেকে বুদ্ধগয়া যেতে অটোতে মিনিট কুড়ি সময় লাগে।
দর্শনীয় স্থান :
মহাবোধি বিহার :
মহাবোধি বিহার মন্দিরটি মঠের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। মন্দিরটি অপূর্ব শিল্প নৈপুণ্যে নির্মিত। দ্বিতল মন্দিরটির নীচের অংশ ৪০ বর্গফুট আর উচ্চতা ১৭০ ফুট। চতুস্কোনাকৃতি মন্দিরটি নীচের থেকে ক্রমশ উপরের দিকে সূক্ষ্ম হয়ে গেছে। মন্দিরটির ভিতরে নীচের তলায় একটি সুন্দর একটি বুদ্ধদেবের মূর্তি রয়েছে। উপরের তলায় বুদ্ধদেবের মাতৃদেবী মায়াদেবীর মূর্তি আছে। মঠের চারদিকেই পুণ্যার্থীরা ধ্যান বা প্রার্থনার মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করছে দেখা যায়। মন্দিরটি সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন। বুদ্ধগয়ার এই মহাবোধি বিহার বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র ও শ্রেষ্ঠতম তীর্থ স্থান হিসেবে পূজিত হয়। সারা বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ও নির্বাণকামী মানুষ এই স্থানে এসে তীর্থদর্শন করেন ও তাদের মনোবাঞ্ছা পুরণার্থে ধ্যান-সমাধি করেন ও পূজা দিয়ে থাকেন।
বোধিবৃক্ষ
পরম পবিত্র বোধিবৃক্ষটি বুদ্ধগয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। এই বৃক্ষের শান্ত সুশীল ছায়ায় বসেই সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধত্ব বা জ্ঞানলাভ করেছিলেন। এই বোধিবৃক্ষটি পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন বৃক্ষরূপে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী প্রচুর ঝড়-ঝাপটা ও মানুষের অত্যাচার সহ্য করে এখনও দাঁড়িয়ে আছে। বৃক্ষের এই জায়গাটিকে তীর্থযাত্রীরা পরম শ্রদ্ধার সাথে দর্শন করে।
সুজাতা কুঠি
মহাবোধি বিহার মন্দিরটির থেকে নৈরঞ্জনা নদী পাড় হয়ে কিছুটা গেলে একটা মাটির স্তুপ দেখা যায়। এই স্তূপটিই হল সুজাতার পৈতৃক বাস্তুভিটা। বৌদ্ধ যাত্রীরা এই স্থানে গিয়ে মাটির স্তূপটিকে শ্রদ্ধা জানান।
মুচলিন্দ্র সরোবর
মহাবোধি মন্দিরের দক্ষিণদিকে একটা পুকুর দেখা যায়, সেটাই মুচলিন্দ্র হ্রদ বা সরোবর। এই হ্রদের তীরে বসেই ছয় সপ্তাহ ধরে ভগবান বুদ্ধ শাক্যমুনি ধ্যানমগ্ন ছিলেন। এই জায়গাটিতে ভগবান যখন আধ্যাতিক চিন্তায় মগ্ন ছিলেন, তখন ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছিল। ভগবান বুদ্ধকে ঝড়-বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নাগরাজ মুচলিন্দ্র নিজের শরীর দিয়ে ভগবানকে ঘিরে রেখেছিলেন এবং তার ফণা দিয়ে মাথা ঢেকে রেখেছিলেন। এইভাবে ছয় সপ্তাহ ধরে তিনি ভগবানকে রক্ষা করেছিলেন। এজন্য এই পুকুরটিকেই মুচলিন্দ্র হ্রদ বা সরোবর বলা হয়। পূর্বে হিন্দুরা এখানে ব্রাহ্মণদের সাহায্যে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের পিন্ডদান করত। এই কারণে এটাকে অনেকে বোধিকুণ্ডও বলে থাকে। ব্রম্ভদেশের পুণ্যাথীরা পুকুরটির মাঝখানে একটা বুদ্ধদেবের মূর্তি ও মূর্তিটির মাথার ওপর নাগরাজের ফণা বিস্তিত রয়েছে, এমন একটা মূর্তি তৈরী করে দিয়েছেন।
আশি ফুট বুদ্ধ মূর্তি
এই মূর্তিটি স্থাপন করার পর থেকে বুদ্ধগয়ার আকর্ষণ বহুগুণ বেড়ে গেছে। মূর্তিটি জাপানি ভক্তরা তৈরী করে দেন। মূর্তিটির দুপাশে দাঁড়ানো অন্যান্য প্রখ্যাত বুদ্ধভক্তদের মূর্তিও রয়েছে। মূর্তিটি জাপানি মন্দির সংলগ্ন স্থানে পূর্বমুখ করে খোলা আকাশের নীচে স্থাপন করা হয়েছে।
থাই মন্দির
অনন্য শিল্প নৈপুণ্যে সমৃদ্ধ থাই মন্দিরটি। ১৯৫৬ সালে ১১ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে থাই সরকার মন্দিরটি স্থাপন করে দেন থাই ভক্তদের জন্য। মন্দিরটি বিশাল জায়গা নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে। এই মন্দিরের ভিতরে অষ্টধাতুর একটা বুদ্ধ মূর্তিটি রয়েছে। মূর্তিটি খুবই সুন্দর।
তিব্বতি মন্দির
এই মন্দিরটি শ্রীলংকা ধর্মশালার উত্তর পাশে রয়েছে। এই মন্দিরে ১৯৩৮ সালে লাদাখের বিখ্যাত লামা খনগো ওবংগ সোমন তিব্বত ও লাদাখবাসীদের অর্থানুকূল্যে স্থাপন করেন। অপরূপ সাজে সজ্জিত মৈত্রেয় বোধিসত্ত্বের প্রতিমূর্তি রয়েছে মন্দিরটিতে। দ্বিতীয় তলায় অসংখ্য ধর্মীয় উপকরণ ও পুস্তকের পাণ্ডুলিপিও রয়েছে। প্রথম তলায় একটা বিশাল আকারের ২০ টনের বেশি একটি ঘন্টাকৃতির বিরাট চক্র রয়েছে।
জাপানি মন্দির
মহাবোধি মন্দিরের দক্ষিণ -পশ্চিমে দুটি মন্দির রয়েছে, . এই মন্দির দুটি হল পুরাতন ও নতুন জাপানি মন্দির। মন্দির দুটিতে ভূমি স্পর্শ মুদ্রায় দুটি বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে। জাপানি শিল্পরীতিতে মূর্তিগুলো ও মন্দিরটি তৈরী করা হয়।
কিভাবে যাবেন :
বুদ্ধগয়ার নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হল গয়া। হাওড়া থেকে দিল্লিগামী যে কোন ট্রেনই গয়া হয়ে যায়। তাই গয়া পৌঁছোবার জন্য প্রচুর ট্রেন রয়েছে। গয়া থেকে বুদ্ধগয়ার দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার।গয়া রেল স্টেশনের ঠিক বাইরে থেকে শেয়ার অটো ধরতে পারেন অথবা অটো রিজার্ভ করেও যেতে পারেন। এছাড়া গয়া স্টেশন থেকে বাসও যাচ্ছে বুদ্ধগয়াতে। গোয়া থেকে বুদ্ধগয়া যেতে অটোতে মিনিট কুড়ি সময় লাগে।
তারিখ : ২০-০২-২০১৯
ছবি ও লেখার স্বত্ব অধিকার : সুদীপ্ত মুখার্জী
যোগাযোগ : ৯৮৩০৪২০৭৫০
যোগাযোগ : ৯৮৩০৪২০৭৫০
➧ আমার এই লেখাটি যদি আপনার ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। পরবর্তী লেখাগুলো পেতে ব্লগটিকে ফলো করে রাখুন।
No comments:
Post a Comment